
অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণের ফলে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে- ফরিদা আখতার
- আপলোড সময় : ০১-০৯-২০২৫ ০৪:৪২:১৫ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০১-০৯-২০২৫ ০৪:৪২:১৫ অপরাহ্ন


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হাওরে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণের ফলে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিভিন্ন গবেষণা এবং স্থানীয় জনগণের অভিমত অনুযায়ী দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় যে অল ওয়েদার সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে পানি ও মাছ চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ রাখা হয়নি। গতকাল রোববার কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার নিবন্ধিত মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, হাওরের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য মানুষই দায়ী। সব প্রাকৃতিক পরিবর্তন প্রকৃতির সৃষ্টি নয়, অনেক কিছুই মানুষের কর্মকাণ্ডের ফল। প্রকৃত মৎস্যজীবী ছাড়া অন্য কাউকে হাওরের জলমহাল ইজারা দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, নির্বিঘ্নে পানি ও মাছ চলাচলের জন্য অল ওয়েদার সড়কে আরও বেশি সংখ্যক কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে। এতে একদিকে যেমন সড়কের সুফল পাওয়া যাবে, অন্যদিকে মাছেরও ক্ষতি হবে না।
কালভার্ট নির্মাণ বিষয়ে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, যদিও এটি অল ওয়েদার সড়ক নামে পরিচিত, মূলত এটি হাওরের তিনটি উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে। সড়কটি উঁচু করে নির্মাণ করা হলেও এর নিচ দিয়ে পানি প্রবাহের পথ যথেষ্ট প্রশস্ত ও পর্যাপ্ত নয়। হাওরের পানি প্রবাহ এবং মাছের প্রজনন স্বাভাবিক রাখতে নতুন করে আরও কালভার্ট নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি।
মিঠামইন অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজাবে রহমত। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রউফ, সহকারী পুলিশ সুপার সুবীর কুমার সাহা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মামুন। অনুষ্ঠানে তিন উপজেলার শতাধিক মৎস্যজীবী অংশগ্রহণ করেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ